ইরানের প্রতিশোধের ইঙ্গিত, মসজিদের লাল পতাকা!

আন্তর্জাতিকঃ
পবিত্র জামকারান মসজিদে রক্তলাল পতাকা ওড়ালো ইরান। এই পতাকা মার্কিন হামলায় জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় আসন্ন প্রতিশোধের ইঙ্গিত।

দেশটির কম শহরে এই মসজিদ অবস্থিত। এটি ইরানের সপ্তম বৃহত্তম শহর।

৪ জানুয়ারি, শনিবার ইরাকের বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস ও সালাহউদ্দিন প্রদেশে মার্কিন সেনাদের বালাদ বিমান ঘাঁটিতে রকেট হামলার এর কয়েক ঘণ্টা পর জামকারান মসজিদের সর্ব্বোচ্চ গম্বুজে রক্তলাল পতাকা ওড়ায় ইরান।

এমন খবর প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ও ডেইলি মেইল।

তবে বাগদাদের মার্কিন স্থাপনায় কারা হামলা চালিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। ওই হামলায় একযোগে ৫টি রকেট ছোড়া হয়। এতে এখন পর্যন্ত ৫ জন আহত হওয়ার কথা জানা গেছে।

ইরানের ইতিহাসে এই প্রথম জামকারান মসজিদে রক্তলাল পতাকা ওড়ানো হলো। পতাকাটিতে লেখা, ‘যারা হোসেনের রক্তের বদলা নিতে চায়’।

এই পতাকা ওড়ানোকে সোলাইমানি হত্যার দায়ে আমেরিকার ওপর ইরানের বদলা নেয়ার অঙ্গীকার হিসেবে দেখা হচ্ছে। সম্ভাব্য যুদ্ধের হুঁশিয়ারি হিসেবেও দেখা হচ্ছে এ পতাকাকে। শিয়া সংস্কৃতিতে লাল পতাকা দিয়ে অন্যায় রক্তপাতের বদলা নেয়ার প্রতীক।

এর আগে ৩ জানুয়ারি, শুক্রবার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যায় ক্ষুব্ধ হয়ে হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ বাগদাদের রাস্তায় নেমে আসে ও ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দেয়।

প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার রাতে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং ইরাকের হাশদ আশ-শাবি বা পুপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটস (পিএমইউ) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহানদিস।

এই ঘটনায় ইরানের সর্ব্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘সোলাইমানিকে হত্যাকারীদের জন্য কঠোর প্রতিশোধ অপেক্ষা করেছে।’

ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, ‘হোয়াইট হাউজ বুঝতে পারেনি তারা ইরানি জেনারেলকে হত্যা করে কত বড় ভুল করেছে। এই অপরাধের পরিণতি ওয়াশিংটনকে শুধু আজ নয় বরং বহু বছর ধরে ভোগ করতে হবে।’ শনিবার রাজধানী তেহরানে সোলাইমানির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

-কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter