উপকূলে বইছে প্রচণ্ড বাতাস, আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং

উপকূলে বইছে প্রচণ্ড বাতাস, আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং

নিজস্ব প্রতিবেদক:

উপকূলে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বইছে, সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও। উপকূলীয় জেলাগুলোতে বিপদসংকেত জারি হওয়ার পর উপকূলবাসীকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং শুরু হয়ে।

সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’র প্রভাবে কক্সবাজারেরর প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনসহ উপজেলায়ও বইছে প্রচণ্ড বাতাস। এ কারণে মঙ্গবার বিকেল থেকে দ্বীপ বাসীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং চলছে।

রাত ১০টা পর্যন্ত শাহপরীর দ্বীপের অর্ধশতাধিক লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জনসাধারণকে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে এবং একই সঙ্গে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষ করে সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপসহ কয়েকটি এলাকা অতি ঝুকিঁপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগে সেসব এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয় নিয়ে যাওয়া হবে। প্রয়োজনে লোকজনকে জোর করে আশ্রয়কেন্দ্র নেওয়া ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

একই সঙ্গে দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য শুকনো খাবার প্রস্তুত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন ইউএনও।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে দ্বীপের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া জন্য তাদের পক্ষ থেকে মাইকিং চলছে। তাছাড়া বিকেল থেকে দ্বীপে বৃষ্টি না হলেও প্রচন্ড বাতাস শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের একটি টিম, রেডক্রিসেন্টের লোকজন ও দ্বীপে দায়িত্ব থাকা বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোন লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীদের দিয়ে জোর করে দ্বীপের সকলকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।

দ্বীপের বাসিন্দা নুর মুহাম্মদ বলেন, বিকেল থেকে দ্বীপে বাতাস বেড়েছে। ফলে দ্বীপের চেয়ারম্যানসহ একটি দল মাইকিং করে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। এখনো মাইকিং চলছে, তবে কেউ সারা দিচ্ছে না।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবেলায় সেন্টমার্টিনসহ প্রত্যাক ইউনিয়নে জরুরী মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া এমার্জেন্সি সেবা দিতে সেন্টারে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে এবং সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের মোকাবিলয় জেলার উপকূলীয় মানুষদের নিরাপত্তায় ৫৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র ২৫টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আশ্রয় নিতে পারবেন। বিশেষ করে কুতুবদিয়া, টেকনাফসহ সেন্টমার্টিনসহ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশপাশি করোনা আক্রান্তদের আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

-এফকে

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter