ঐক্যফ্রন্টের ১০ হাজার নেতাকর্মী আটকের অভিযোগ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর ঐক্যফ্রন্টের প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক প্রার্থীও আছে।

আজ শুক্রবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান।

নজরুল ইসলাম বলেন, এ নির্বাচনের তফসিল পুরোপুরি অসমতল। তারপরও আমরা এ অসমতল মাঠে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আশা ছিল নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোট সুষ্ঠু করতে পদক্ষেপ নেবে কিন্তু তারা সেটি করেনি। এমনকি ভোটে অংশ নেওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা দেখা করেছিলাম। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন ভোটের সময় সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করবেন, নির্বাচনকে প্রভাবিত করবেন না, সুষ্ঠু ভোট হবে কিন্তু তিনি যা বলেছিলেন সেগুলোর কোনোটাই তিনি রাখেননি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরই আমাদের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের হামলা, মামলা গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করছে। এমনকি আমাদের প্রার্থীদেরও গ্রেপ্তার করছে। আবার আদালতকে ব্যবহার করে প্রার্থী দেওয়াতে বাধা দিয়েছে। নিবাচন কমিশন ১৬ টি আসনে আমাদের প্রার্থীদের বাতিল করে এগুলো সরকারকে উপহার দিয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সারা দেশে নেতাকর্মীদের এখনও গ্রেপ্তার করছে, হামলা করছে। এজেন্টদের ও তালিকা ধরে ধরে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ভোটের আগে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এজেন্টের তালিকা জমা দিতে হয়। অথচ সে তালিকা জমা দিতে যাওয়ার পথে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা আমাদের প্রার্থীর এজেন্ট তালিকা ছিনিয়ে নেয়নি শুধু শারীরিকভাবে নির্যাতনও করেছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘এখনো সরকারি দল পুলিশের প্রহরায় প্রচারণা চালাচ্ছে। অথচ এটি নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। এমনকি শোনা যাচ্ছে আজ বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে সরকার প্রধানের একটি অনুষ্ঠান পুনঃ প্রচার করা হবে। এছাড়া একটি টিভি চ্যানেল প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের একটা বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রচার করবে যা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। এ দেশে আইন যারা বানিয়েছে তারাই নিয়মিত আইনলঙ্ঘন করছে।

নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা সাহস করে ভোট কেন্দ্রে যাবেন, নিজের ভোট দিবেন।’ প্রার্থী ও এজেন্টদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা ভোট গ্রহণের আগে দেখে নিবেন ভোটের বাক্স খালি আছে কিনা? আর ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনা করে কে কত ভোট পেল সেটি নিশ্চিত না হয়ে কোনো খোলা কাগজে সই করবেন না।

নজরুল ইসলাম আরো বলেন, অনেক চেষ্টা করা হবে আমাদের পরাজিত করতে । কিন্তু নেতাকর্মী ও জনগণ তৎপর থাকলে সেটা সফল হবে না। আমরা আশা করবো সবাই সাহস করে ভোট কেন্দ্রে যাবেন, নিজের ভোট নিজে দিবেন।

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter