করোনার হতাশায় অর্গান ডোনার এমিলির আত্নহত্যা

মিলি সুলতানা, কুইন্স, নিউইয়র্ক থেকেঃ

এই মেয়েটির জন্য আমার কষ্ট হচ্ছে। টিনএজরা অনেক সময় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে। এমিলি ওয়েন ১৯ বছরের তরুণী।

ইংল্যান্ডের নরফোকের একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েট্রেসের কাজ করতো। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা তাকে খুব বেশি পেনিক করে তুলেছিলো। সুস্থ মানুষও নিজের এবং নিজের পরিবারের সুরক্ষার জন্য আইসোলেশনে যায়। এটা অস্বাভাবিক তো নয়-ই।

কোয়ারেন্টিন মানে করোনাভাইরাস নামক অদৃশ্য আততায়ীর হাত নিজেকে নিরাপদ রাখা। এমিলি ওয়েন আইসোলেশনকে ধরে নিয়েছিলো জীবন থমকে যাবার প্রধান অন্তরায়। বাইরের জগত থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন ভাবতে পারেনি বোকা মেয়েটি। সুইসাইড করে বসেছে।

এমিলি একজন অর্গান ডোনার ছিলো। মাত্র ১২ বছর বয়সে অর্গান ডোনারের চুক্তিপত্রে সাইন করেছিলো মেয়েটি। এত অল্প বয়সে অর্গান ডোনেট করার ব্যাপারটা কোনো সাধারণ মানুষের ভাবনাতেও আসবেনা।

জানা গেছে এমিলির আত্মহত্যার পর তার বডি অর্গানের মাধ্যমে তিনটি শিশু সারভাইব করতে পারবে।

-শিশির

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter