ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে মেডিকেলের পরীক্ষা

ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে মেডিকেলের পরীক্ষা

শিক্ষাঃ
ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে দেশের সব মেডিকেল শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আলাপ হয়েছে। দেশে ১৭ হাজার নার্স পরীক্ষা দেবে এবং তারা সনদও পাবে।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য খাতের প্রায় ২২ হাজার কর্মচারী-কর্মকর্তার বিভিন্ন পরীক্ষা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এরই মধ্যে আমার আলাপ হয়েছে। আমি তাঁকে জানিয়ে দিয়েছি, পরীক্ষার প্রস্তুতির প্রসঙ্গে। তিনিও আমাদের প্রস্তুতিতে সম্মতি দিয়েছেন।

আমরা চাই না, শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে একটি বছর নষ্ট হয়ে যাক।’

আজ শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের চারদিকে ১০টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টার উদ্বোধন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক আরো বলেন, ‘আপনারা জেনে খুশি হবেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা করোনার সময়ই ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি।

প্রায় চার হাজার চিকিৎসক ও তিন হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দিয়েছি।

আমাদের স্বপ্ন একটা মানুষও বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন এবং নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।’

এ ছাড়া আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার হরগজে একটি ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের করেন। পরে সেখানে তিনি মতবিনিময় সভা করেন।

এ সময় জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বে যখনই করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আসবে বাংলাদেশ তখনই ভ্যাকসিন পাবে।

করোনা নিয়ন্ত্রণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল। জনসংখ্যার ঘনত্বে আমাদের দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনেক কম।

সবাই স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহার করলে আমাদের দেশ থেকে করোনা আরো আগেই বিদায় নিত। আমাদের দেশে স্বাস্থ্য সেবা ভালো আছে বলেই দেশে সব কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবে চলছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতারা ঘরে বসে শুধু সমালোচনা করতে জানে। করোনার বিপদের সময় তারা মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি, তবে তাদের দেখা গেছে প্রেসক্লাবের সামনে বড় বড় কথা বলতে।

দেশে ৩৮টি মেডিকেল কলেজ, ২০-২২টি ইনস্টিটিউট জেলা-উপজেলা ও প্রত্যন্ত এলাকায় হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে।’

কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে সাড়ে আট লাখ মানুষের অন্ধত্ব রয়েছে। এদের চিকিৎসার জন্য সরকার কমিউনিটি ভিশন সেন্টার চালু করেছে। এই কমিউনিটি ভিশনের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষজন বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকের সেবা পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী চিকিৎসা আজ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে গেছে।’

কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস, জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশাদ উল্লাহ প্রমুখ।

-কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter