বিশ্বস্বাস্থের মতে লকডাউনে যে ৬ কাজে করতে হবে

বিশ্বস্বাস্থের মতে লকডাউনে যে ৬ কাজে করতে হবে

অনলাইনঃ

সারা বিশ্বে সংক্রমণ করছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এর ছোবল বাংলাদেশেও। দেশে এ পর্যন্ত সরকারি হিসেবে করোনাভাইরাসে ৫ জন মারা গেছেন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ জন।

ইতোমধ্যে দেশের সব স্থানের জনসমাগম না করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। আর এ কারনেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সবধরনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এ ছাড়াও সব ধরণের ধর্মীয়, সামাজিক অনুষ্ঠানের উপরেও দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ভ্রমণ স্থানগুলোও। আজ ২৬ মার্চ, বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ গণপরিবহণও। ১০ দিনে জন্য বন্ধ সরকারি অফিস-আদালত। কাঁচামাল ও ওষুধের দোকান ছাড়া সবধরনের দোকানও বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এমন অবস্থায় দেশজুড়ে কার্যত লকডাউন শুরু হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশর মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে এই লকডাউন বা শাটডাউন আসলে চলতে পারে কতদিন ধরে? কী হবে এই লকডাউন পরিস্থিতিতে? আর এগুলো কী করোনাভাইরাস প্রার্দুভাব ঠেকাতে পারবে?

এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস বুধবার এক প্রেস বিফ্রিংয়ে বলেন, ‘আমরাও বুঝি যে এসব দেশ আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে যে কখন এবং কীভাবে এসব পদক্ষেপগুলো শিথিল করা যায়।’

তার সোজাসাপ্টা মন্তব্য, ‘এই জনসংখ্যা বিষয়ক পদক্ষেপগুলো কার্যকর থাকার সময়টাতে দেশগুলো কী ব্যবস্থা নেয় – তার উপর এর উত্তর নির্ভর করছে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, লকডাউন বা শাটডাউন পরিস্থিতিতে দেশগুলোকে ছয়টি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে। এগুলো হলো-

১. যতটা সম্ভব পারা যায় স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা বাড়াতে হবে, তাদের প্রশিক্ষণ ও সেবা কাজে নিয়োগ করতে হবে।

২. কম্যুনিটি লেভেলে সংক্রমণ হতে পারে – এমন প্রতিটি ঘটনা খুজে বের করার ব্যবস্থা করতে হবে।

৩. টেস্ট করার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করতে হবে।

৪. রোগীদের চিকিৎসা এবং তাদের আইসোলেট করার জন্য পর্যাপ্ত সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. রোগীদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

৬. ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করার জন্য গৃহীত সরকারি পদক্ষেপগুলো পুর্নমূল্যায়ন করতে হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এসব ব্যবস্থা নেয়াটাকেই সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

-ডিকে

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter