সকল বর্জ্য-আবর্জনাই কোন না কোনভাবে পুনর্ব্যবহৃত সম্ভব

সকল বর্জ্য-আবর্জনাই কোন না কোনভাবে পুনর্ব্যবহৃত সম্ভব

জাতীয় সম্পদঃ
বাংলাদেশে ওয়েস্টেজ বলে কিছু নেই, দেশের প্রায় সকল ওয়েস্টেজেরই ব্যবহার আছে এবং সকল বর্জ্য-আবর্জনাই কোন না কোনভাবে পুনর্ব্যবহৃত হচ্ছে।

এছাড়াও কিভাবে আরও নতুন কোন ক্ষেত্রে জৈব-জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব, তা নিয়ে আমাদের গবেষণা অব্যাহত রাখতে হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা (মন্ত্রী) ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম।

সম্প্রতি বাংলাদেশ এনার্জি সোসাইটি (বিইএস) এর আয়োজনে ‘বাংলাদেশে জৈব-জ্বালানির সম্ভাবনা’ বিষয়ক ৯ম ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

বিইএস সভাপতি ও সাবেক মুখ্য সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর সভাপত্ত্বিতে ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কওনিশ কীর্তনিয়া।

এছাড়া, আলোচক হিসেবে ছিলেন জিআইজেড-এর সাবেক সিনিয়র উপদেষ্টা ইঞ্জি. মো: মুস্তাফিজুর রহমান; বিপিডিবি-এর সিস্টেম প্ল্যানিং-এর পরিচালক ইঞ্জি. জোরিফা খাতুন; সিকেএন ফিডস লিমিটেড-এর গবেষক/উপদেষ্টা ও বায়োগ্যাস অ্যাসোসিয়েশন-এর কার্যনির্বাহী সদস্য শাহেদ ইসরায়েল খান; এবং বিইএস-এর কাউন্সিল মেম্বার ও বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ-এর সাবেক অধ্যাপক প্রফেসর ইজাজ হোসেন।

সমাপনী সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন বিইএস-এর সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-এর সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম।

উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইজিসিবি) ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং কাউন্সিল মেম্বার বিইএস মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অবঃ)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, “আমি সর্বদাই গবেষনাকে সমর্থন করি, কারণ এর মাধ্যমেই একটি জাতি উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম।

আমাদের রিসার্চের মাধ্যমে এতোমধ্যেই বিভিন্ন শিল্প-প্রতিষ্ঠান ও শিল্প-কারখানায় ব্যাপকহারে জৈব-জ্বালানির ব্যবহার হচ্ছে এবং সুফল আমরা দেখতে পাচ্ছি।”

এসময় অংশগ্রহণ কারীরা দেশের বর্তমান জ্বালানি পরিস্থিতি সামলাতে জৈব-জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি ও উপকারিতা এবং সম্ভাবনা প্রসঙ্গে আলোচনা করেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. কওনিশ কীর্তনিয়া বলেন, “ট্রাকিং, শিপিং এবং এভিয়েশনের মতো হার্ড-টু-অ্যাবেট সেক্টরগুলোর জন্য লো-কার্বন সল্যুশন প্রদানের মাধ্যমে যানবাহনকে ডিকার্বনাইজ করার ক্ষেত্রে জৈব-জ্বালানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বর্তমানে আখ, ভুট্টা ও সয়াবিনের মতো কমন ফিডস্টক ব্যবহার করে বেশিরভাগ জৈব-জ্বালানি উৎপাদিত হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া উন্নত করতে হবে এবং জৈব-জ্বালানি ব্যবহারের নিয়ম, গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

এছাড়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিয়মমাফিক পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বৃদ্ধি এবং এই সংক্রান্ত আইন জোরদারের মাধ্যমেও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।”

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, “নবমবারের মতো জৈব-জ্বালানি বিষয়ক ওয়েবিনার আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

এর মাধ্যমে জৈব-জ্বালানির সম্ভাবনা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা বিজ্ঞজনদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ পেয়েছি, যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের জ্বালানি সংকট নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আমি আশাবাদী।

-শিশির

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter