সারাদেশে ধানের শীষের প্রার্থীদের অভিযোগঃ রিজভী

অনলাইনঃ সারাদিন ভোট গ্রহন শেষে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে নিম্নোক্ত তথ্য জানা গেল। তিনি জানান সারাদেশে বিএনপি দলীয় প্রার্থীরা ভোটের মাঠে অভিযোগ করেছেন।

নরসিংদী-২
পলাশে ধানের শীষের প্রার্থী ড.আব্দুল মঈন খান জানিয়েছেন-তাঁর এলাকার ৩৫ শতাংশ কেন্দ্র পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের লোকজনরা দখল করেছে। প্রতিটি কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে।
নওগাঁ-৬
নির্বাচনী এলাকাতে ভয়ঙ্কর অরাজক অবস্থা বিরাজ করছে। রাত্রি থেকে চার্জার লাইট জালিয়ে নৌকা প্রতীকের ব্যালটে সিল মারা শুরু হয়। সকালে হাজার হাজার ভোটার ভোট দিতে এগিয়ে আসলে আওয়ামী ক্যাডার’রা ধাওয়া করে তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়। সন্ধ্যা রাত ভোররাত ৪টা পর্যন্ত ধানের শীষের প্রার্থী আলমগীর কবিরের বাড়ি পুলিশ ঘেরাও করে প্রার্থীসহ প্রার্থীর স্ত্রী এবং ছেলেমেয়ের মোট ৫টি মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায়। গোটা নির্বাচনী এলাকাতে এক ভয়ঙ্কর ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। রানীনগর সদর পাইলট স্কুলে পুলিশ গুলি চালিয়ে কেন্দ্র ভোটারশুন্য করে দেয় এবং সেখানে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেয়ার মহৌৎসব চালায় আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডার’রা। এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারকে অভিযোগ দায়ের করলে তিনি নিশ্চুপ থাকেন।
রাজশাহী (পবা-মোহনপুর)
মিরাজ (২৫)-পিতা মৃতঃ আবদুস সাত্তার, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আয়ান উদ্দিনের গাড়ীর ভেতর থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুঁড়ে প্রকাশ্যে তাকে হত্যা করা হয়।
আবদুল মান্নান-বিএনপি‘র সমর্থক। পিতা মৃতঃ রহিম উদ্দিন। সাবসার হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে।
নওগাঁ-৪
এই নির্বাচনী আসনের প্রায় সকল কেন্দ্রই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের সহায়তায় ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকায় সিল মারছে।
মানিকগঞ্জ-১
ধানের শীষের প্রার্থী খন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলুকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তার বাসায় অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তাকে স্ংাবাদিকদের সাথেও কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। গতরাতে নির্বাচনী এলাকার প্রায় সকল ভোটকেন্দ্র আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দখলে নিয়ে দেদারসে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছে। এলাকায় এক আতঙ্কজনক পরিবেশ বিরাজ করছে।
নেত্রকোনা-৪
ধানের শীষের সকল এজেন্টদের বের করে দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। প্রশাসনের সহায়তায় নৌকায় প্রকাশ্যে সিল মারছে। সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে পারছে না।
ঢাকা-২
সকল কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্ট বের করে দিয়েছে। প্রশাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নৌকায় সিল মারছে।
হবিগঞ্জ-২
প্রায় সকল সেন্টারে ব্যালট পাচ্ছেনা সাধারণ ভোটাররা। সকল এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকায় সিল মেরে ব্যালট বক্স ভর্তি করে ফেলেছে।
খুলনা-২
সমস্ত ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। কয়েকটি সেন্টারে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখা মাত্রই গ্রেফতার করছে। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারছে না। যারা ভোট দিতে যাচ্ছে, নৌকার এজেন্টরা ইভিএম মেশিনে নৌকায় ভোট চেপে রাখছে।
মুন্সিগঞ্জ-১
লতব্দী ইউনিয়নে রামকৃষ্ণদী মিয়ার হোসেন উচ্চ বি: ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী তোতলা মিন্টু, মহসিন খান, মোজাম্মেল খানের নেতৃত্বে গতকাল রাত থেকেই কেন্দ্র দখলে নিয়ে নৌকায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রেখেছে। সাধারণ ভোটারদেরকে বলা হচ্ছে আপনাদের ভোট হয়ে গিয়েছে। আপনারা চলে যান।
শরীয়তপুর-৩
সমস্ত ভোট কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দিয়ে দরজা আটকিয়ে নৌকায় সিল মারছে ও বাহিরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা প্রকাশে অস্ত্র উঁচিয়ে ঘেরাাফেরা করছে। সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।
যশোর-২
সংকপুর ও কুলবাড়ীর সকল ভোট কেন্দ্রেই ভোট দিতে দিচ্ছে না সাধারণ ভোটারদের। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে বলছে যে, ধানের শীষের কোন এজেন্ট ভোট কেন্দ্রে নেই।
ঢাকা-১২
গতরাত থেকেই সকল ব্যালট পেপারে নৌকায় সিল মারা ছিল। ২/১ টি ভোট ধানের শীষে দিলেও তারা তা প্রকাশ্যে ছিড়ে ফেলছে।
সিলেট-৩
নির্বাচনী আসনে সকল কেন্দ্রই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তালা মেরে রেখে ভেতরে নৌকায় সিল মারছে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে কোন সাধারণ ভোটার নেই।
নরসিংদী-২
এই আসনে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিউদ্দিন ও মেহেরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতিকে মারধোর করে গুরুত্বর আহত করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। তাদের ২জনকে নরসিংদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা থানায় ফোন করে তাদের ২ জনকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-৬
নির্বাচনী আসনের প্রায় সকল ভোট কেন্দ্রেই বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাব মিলে এজেন্টদের বের করে দিয়ে তারা সকলে মিলে আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে নৌকায় সিল মারছে। সাধারণ ভোটারদের কোন ভোট দিতে দিচ্ছে না।
বরিশাল-২
নির্বাচনী আসনের উজিরপুর উপজেলার জয়শ্রী গ্রামের বিএনপি কর্মী মোঃ আলমগীর হোসেনকে গতরাত ১১ টার সময় ১০/১২ জনের মুখোশপরা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মারধোর করে গুরুত্বর আহত করে। এবং এলাকার মহিলারা আলমগীরকে উদ্ধার করে। সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে বলে যে, নৌকায় ভোট না দিলে কেহ কেন্দ্রে যাবেন না। নির্বাচনের পরে সকল বাড়ী-ঘর জালি জালিয়ে-পুড়িযে দেবো। মুখোশধারীদেরকে আলমগীর চিনতে পেরেছে। তারা হলেন মরহুম আবুল মৃধার ছেলে সজল মৃধাসহ তার লোকজনেরা।
ঢাকা-৬
গেন্ডারিয়া মহিলা ভোট কেন্দ্রে বিএনপি’র এজেন্টদের মারধোর করে বের করে দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে পারছে না। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের সামনে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে।
শেরপুর-৩
প্রশাসনের সহযোগিতায় গতরাতেই সকল ভোট কেন্দ্র দখল করে নিয়ে নৌকায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রেখেছে।
ফরিদপুর-১
শাহ আব্দুল আবু জাফরকে পুলিশ বাসার মধ্যে ঘেড়াও করে রেখেছে। সমস্ত কেন্দ্র দখল করে নিয়ে রাতেই বেশিরভাগ কেন্দ্রে নৌকায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করে রেখেছে।
পটুয়াখালী-৪
সকল ভোট কেন্দ্রের ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোট কেন্দ্রগুলোতে বিএনপি সমর্থিত কাউকে পেলে মারধোর করছে।
বাগেরহাট-২
সকল কেন্দ্র দখল করে নিয়ে ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দেয় প্রশাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ধানের শীষ প্রার্থী আঃ সালাম নিজেই ভোট দিতে পারেনি। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আঃ সালামের গাড়ী ভাংচুর করেছে। প্রার্থী প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে প্রশাসন কোন সহযোগিতা করেনি। উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধোর করে এবং ২০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। আছাড়াও ১০ জন গুরুত্বর আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে।
নারায়ণগঞ্জ-৪
এই নির্বাচনী আসনের ৪ নং ওয়ার্ডের সকল ভোট কেন্দ্রগুলো থেকেই ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকায় সিল মারছে প্রশাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। সাধারণ ভোটারদের ভোট দিতে দিচ্ছে না।
ঢাকা-১২
নির্বাচনী আসনের ২৬ নং ওয়ার্ডের সেন্ট্রাল হাইস্কুল ভোট কেন্দ্রে শামীমা কমিশনারের নেতৃত্বে ভোটারদের ভোট দিতে দিচ্ছে না।
টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের নাগরপুর দেলদুয়ারের প্রায় সকল ভোট কেন্দ্রই নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এবং প্রাশাসনের সামনেই ধানের শীষ প্রার্থী এ্যাড: গৌতম চক্রবর্তীকে ভোট না দিতে দিয়ে বের করে দিয়েছে আওয়ামী ক্যাডার বাহিনীরা।
গোপালগঞ্জ-৩
ধারে শীষ এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারছে নৌকার লোকজনেরা।
যশোর-৩
আলিয়া মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে পারছে না। সকাল থেকে দরজা বন্ধ করে নৌকায় সিল মারছে। প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।
ঢাকা-৬
আজ সকালে ৩৭ নং ওয়ার্ডে রাধাসুন্দরী সরকারী প্রা: বি: ভোট কেন্দ্রে যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সিনি: সহ সভাপতি শরীফ হোসেন তার পরিবার নিয়ে ভোট দিতে গেলে কামিশনার আবু আহমেদ মান্নার নির্দেশে ও নেতৃত্বে তার স্ত্রী ও ছেলেকে মারধোর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এবং ধানের শীষের এজেন্ট তার ছোট বোন সেলিনা কবিরকে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়।
নোয়াখালী-১
১২৯টা কেন্দ্রের মধ্যে ১২৭টি কেন্দ্র দখল করে নৌকায় সিল মারছে। সকল কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এজেন্ট ও ভোটারদের মারধোর করছে।
নোয়াখালী-৫
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নয়টি ও কবিরহাট উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে সকল কেন্দ্রের ভোট রাত্রে সিল মেরে রাখা হয়েছে। এখন কোন ব্যালট পেপার নাই। ভোটাররা ভোট দিতে গিয়ে ফিরে আসছে। বিএনপি এজেন্টদেরকে বের করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়া ও কয়েকশ বোমা বিষ্ফোরণ ঘটায়। এতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় শতাধিক লোক আহত। এছাড়া কবিরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি মোস্তফা রহমান মঞ্জু, ভাটিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পর্বাপতী রোহিম মিয়া কেন্দ্রে বিএনপির ২২ জন গুলিবিদ্ধ। ২ জন লোক মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
কুষ্টিয়া-৪
নির্বাচনী আসনের ১৪৮ কেন্দ্রের মধ্যে ৮৭ টি কেন্দ্রে ৫শ থেকে ৭শ ভোট পুলিশের সহায়তায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নৌকা প্রতিকে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ঢুকিয়ে দেয়। এসময় ধানের শীষের নেতা কর্মীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে হয়রানি চালায় এবং হুমকী প্রদান করে আসে।
(কুমারখালী-খোকসা) আসনের ১২২ কেন্দ্রে থেকে ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা প্রদান করে এবং কোন কোন পোলিং এজেন্ট ভেতরে ঢুকলেও তাদের বের করে দেওয়া হয়। এরপর নৌকা প্রতিকের কর্মী সমর্থকরা পুলিশের সহায়তায় বিএনপি নেতাকর্মীদের কেন্দ্রে থেকে বের করে দেয় এবং সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রকাশ্য নৌকা প্রতিকে সিল মারতে বাধ্য করা হচ্ছে।
শেরপুর-১
সদর আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকার এজেন্টদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করে। টাকা নিয়েও ছাড়েনি এজেন্টদেরকে। এছাড়া চরশেরপুর ইউনিয়নের দড়িপাড়া গ্রামে নৌকায় সিল মারা ব্যালট পেপার সাতান কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ ও স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ। বাতশালা ইউনিয়নে বিএনপির পোলিং এজেন্ট এবং স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে যুবলীগ-ছাত্রলীগ।
নরসিংদী-১
নুরুল্লাপুর ইউনিয়নে খিদিরকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গতরাতে আওয়ামী ক্যাডাররা নৌকায় সিল মেরে রেখেছে।
ঝিনাইদহ-৪
সকালেই এ আসনের সকল কেন্দ্র থেকে এক যোগে আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডাররা মারধোর করে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।
বান্দরবান
বাইশারি আলেক্ষং সেন্টার, আজিজনগর সরকারী প্রা:বি: কেন্দ্র সহ কেন্দ্রে রাতেই নৌকায় সীল মেরে ব্যালপ বাক্স ভরে ফেলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
চট্টগ্রাম-৮
বহদ্দারহাট মোড়ে এখলাসুর রহমান প্রা: বিদ্যালয়ে আওয়ামী ক্যাডাররা কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে।
কক্সবাজার-৩
১০৮টি কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। ৩ জনকে গুলিবিদ্ধ ও ২০ জনে আহত করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
কক্সবাজার-৪
৫১টি কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দিয়েছে। ৩০টি কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ১৮ জনকে মারধোর করে আহত করেছে।
নোয়াখালী-২
গতরাত ১০ টার পর থেকে আওয়ামী নেতাকর্মী ও তাদের বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সহায়তায় সোনাইমুড়ী, বারগাঁও, নাটেশ্বর, অম্বরনগর এর সকল কেন্দ্র এবং সেনবাগের ১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বেশিরভাগ কেন্দ্রে রাতের অন্ধকারে ঢুকে ব্যালট পেপার নিয়ে নৌকায় সিল মেরে বাক্স ভরাট করে রাখে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরে বিএনপি নেতাকর্মী এবং স্থানীয় জনগণ সহ প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি সাক্ষাত করেনি।
চট্টগ্রাম-৪
সীতাকুন্ডুতে কোন বিজিবি ও র‌্যাব এজেন্ট ঢুকতে দেয় নাই। গতরাতে সকল কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সিল মেরে রেখেছে।
লক্ষ্মীপুর-৩
নির্বাচনী এলাকায় গতকাল সন্ধ্যার পর হইতে পৌরসভা সহ প্রায় সবগুলি কেন্দ্রে নৌকা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে সন্ত্রাসীরা ব্যাপক বোমাবাজি করে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে। রাতব্যাপী বোমাবাজির শব্দ প্রশাসনের লোকজন সহ এলাকাবাসী শুনতে পায়। শুধু তাই নয় রাত ৮ টার পর হতে গভীর রাত পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নৌকা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে ৫০%-৬০% ভোট নৌকা প্রতীকে সীল মেরে ব্যালট বাক্সে ঢুকাইয়া বাক্স ভর্তি করে রাখে। সকালে ভোটের সময় আওয়ামী এজেন্ট ও তাদের সঙ্গীয় সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের উপস্থিতিতে বিভিন্ন কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়া বের করে দেয়।
কিশোরগঞ্জ-৪
এজেন্ট ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় নাই। অনেক এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন্দ্র দখল করে ব্যালট বাক্স ভরা হচ্ছে। এলাকায় ভীতির সৃষ্টি করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল-২
সমস্ত এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে। অনেক এজেন্টকে বের হতে না চাইলে তাদের প্রশাসনের সামনেই মারধোর করছে। গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন নিজেই গোপালপুর পৌর এলাকার আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দিয়ে মারধোর সহ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
নারায়ণগঞ্জ-৫
কোন কেন্দ্রেই পোলিং এজেন্ট ঢুকতে দেয়নি। সকল এজেন্টের বাসার সামনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ঘিরে রেখেছে। ভোটারদের ভোটও দিতে দিচ্ছে না।
নরসিংদী-২
সকল পোলিং এজেন্টকে বের করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। পুলিশের সহযোগীতায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মারধোর করা হয়। কিশোরগঞ্জ-৪
ভোট কেন্দ্রে কোন এজেন্ট থাকতে দেয় নাই। সব এজেন্ট বের করে দিয়েছে।
মৌলভীবাজার-৪
৯০ ভাগ সেন্টারে এজেন্টদের মারধোর করে বের করে দিয়েছে। প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারছে। সাধারণ ভোরদেরকেও মারধোর করেছে আওয়ামী সন্ত্রসীরা।
হবিগঞ্জ-৩
১৩১ সেন্টারের ৬০টি সেন্টার দখল করে এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আঘাতে আহত ৩ জন অবস্থা মারাত্মক।
নাটোর-১
পুলিশ সকাল থেকে নৌকা মার্কায় ব্যালটে সীল মেরেছে।
নাটোর-২
সকাল বেলা সমস্ত এজেন্টদেরকে বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে ও প্রকাশ্যে নৌকায় সীল মারা হচ্ছে।
নেত্রকোনা-১
সবগুলো কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দিয়েছে ও নৌকায় সীল মারা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা-৪
সমস্ত এজেন্ট প্রশাসনের সহযোগীতায় মারপিট করে বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল করে নেয়।
ঢাকা-৫
শনির আখরা এলাকায় সব এজেন্টকে বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে প্রশাসনের সহযোগীতায়। গেন্ডারিয়া সেন্টারে ভোটারদের সরকারী দলের লোকেরা ভোটারদের বলে নৌকায় ভোট দাও নাহলে মাইর খাও।
ঢাকা-৬
টিকাটুলী কামরুন্নেসা স্কুলে বিএনপির এজেন্টদের মারধোর করে বের করে দেয় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। সাধারণ ভোটারদের ভোট দিতে বাধা প্রদান করে।
ঢাকা-১১
সিরাজ মেমোরিয়াল স্কুল কেন্দ্রের বাহির থেকে ১ জন এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা-১৩
জাহছিয়া ইসলামী মাদ্রাসা, বাদশা ফয়সাল ইনস্টিটিউট নির্বাচনী এজেন্ট বের করে দিয়েছে। ভোটাররা সকাল থেকে ভোট দিতে পারে নাই।
ঢাকা-১৯
সকাল থেকেই সকল এজেন্ট বের করে দেয়া হয়। রাতে নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্স ভরে রাখে। এখন আর নির্বাচন করার মতো পরিবেশ নাই। অনেক এজেন্টকে মারধোর করা হয়।
খাগড়াছড়ি
নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগ কর্তৃক বিভিন্ন উপজেলায় সকল কেন্দ্র দখল, বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা, গুলি ও মারধর করে ধানের শীষের এজেন্টদের মারধর ও বের করে দিয়ে নৌকায় সিল মেরে বাক্সভর্তি করা এবং ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা প্রদান, নেতাকর্মীদের মারধর ও হামলা চালানো হয়।
চাপাইনবাবগঞ্জ-১
পুলিশ, র‌্যাব এর সহযোগীতায় সন্ত্রাসীরা হামলা করে ১ মহিলাকে নিহত। ৩ জনকে গুলিবিদ্ধ ও ৩০টি কেন্দ্রই দখল করে।
লক্ষ্মীপুর-৩
ভোটারদের রাস্তায় নামতে দিচ্ছে না। সকল ভোট আওয়মী সন্ত্রাসীরা নৌকায় সীল মেরেছে।
নওগাঁ-২
সকল কেন্দ্রেই প্রশাসনের সহযোগীতায় আওয়ামীলীগের ভোট কাটছে।
পাবনা-৪
ঈশ্বরদী বালিকা বিদ্যালয় ও সারা মারওয়ারী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র দখলের মাধ্যমে নির্বাচনী আসনের সকল ভোট কেন্দ্র দখলের কাজ সম্পন্ন করলো আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
বাগেরহাট৪
শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কেন্দ্রের কাছাকাছি সশস্ত্র ক্যাডাররা মহড়া দিচ্ছে এবং ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছে। মোরেলগঞ্জের সন্যাসী মকুল ভোট কেন্দ্রে একজন মহিলা ধানের শীষে ভোট দেবার অপরাধে আওয়ামী এজেন্ট ওই ভোট ছিড়ে ফেলেছে।
গাজীপুর-১
প্রশাসনের সহযোগীতায় আওয়ামী সন্ত্রাসী সকল কেন্দ্র থেকে এজেন্ট মারধর করে বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল করে নৌকায় সিল মেরে বাক্স ভরেছে। উক্ত নির্বাচনী এলাকা থেকে ৯ জন এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
চাঁদপুর-৪
সমস্ত কেন্দ্র আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দখলে। রাতেই সকল কেন্দ্রে নৌকা মার্কায় সিল মেরেছে।
রাজশাহী-১
তানোর-গোদাগাড়ীতে ভোটারদেরকে ভোট দিতে দেয়নি আওয়ামী ক্যাডার’রা। এ বিষয়ে পুলিশ ক্যাডারদেরকে সহযোগিতা করেছে।
সুনামগঞ্জ-৫
১৫৯টি কেন্দ্রের ৭০টি সকাল ৯টায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দখল করে দুপুর ১২ টায় আরো ৪০টি কেন্দ্র দখল করে নেয়। সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৩০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত। আহদের মধ্যে চরমহল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাতের অবস্থা আশংকাজনক।
বান্দরবান
বান্দরবান পৌর এলাকার প্রতিটি কেন্দ্রে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর পুলিশ গুলিবর্ষণ করেছে।

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter