সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন

মন্ত্রিসভা আজ ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় প্রত্যন্ত এলাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য মন্ত্রিসভা এই আইনের অনুমোদন দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০’ অনুমোদন দেয়া হয়।

তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ জেলায় ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন’-এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়।

অন্যান্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসরণ করেই এই আইনটি করা হয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খসড়া আইনে ৫৫টি ধারা রয়েছে।

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন ও সংজ্ঞা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য ধারাগুলোর মধ্যে ৯ ধারা চ্যান্সেলর, ১০-১১ ধারা ভাইস চ্যান্সেলর, ১২ ধারা প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ১৩ ধারা কোষাধ্যক্ষ, ১৮-২০ ধারা সিন্ডিকেট, ২১-২২ ধারা এ্যাকাডেমিক কাউন্সিল, ২৯-৩০ ধারা অর্থ কমিটি সম্পর্কিত। এছাড়া আইনের আলোকে ২১টি অনুচ্ছেদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধির খসড়া আইনের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর ইনিশিয়েটিভ। এই কনসেপ্টটা ওনার মাথা থেকে এসেছে যে- প্রত্যন্ত এলাকাতেও বিশ্ববিদ্যালয় থাকা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়।

খসড়া আইনের ওপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামত গ্রহণপূর্বক গত ২২ আগস্ট ২০১৯ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।

এর আগে, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে খসড়া আইনটি নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়। এরপর লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের মাধ্যমে এর ভেটিং গ্রহণ করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ নিয়ে বর্তমানে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও প্রকৌশল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়ালো ২০টি। ১৯টি কার্যক্রমে রয়েছে। আর চারটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪২টি। এগুলোর মধ্যে সাধারণ ১৭টি, কৃষি ও ভেটেরিনারি ৬টি। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৫টি।

-বাসস

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter