ইতালির সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খুলবে সোমবার থেকে

ইতালির সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খুলবে সোমবার থেকে

অনলাইন ডেস্ক:

আগামী সোমবার থেকে ইতালিতে প্রায় সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ইতালিতে সোমবার থেকে গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান শর্তসাপেক্ষে খুলে দেওয়া হবে। করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া চলতি মাসের মধ্যে খুলে দেওয়া হচ্ছে দেশের প্রায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

ইতিমধ্যে ৪ মে থেকে দেশটির সব পাইকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, রিয়েল এস্টেট কোম্পানিসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হেয়েছে। আগামী সোমবার থেকে প্রায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সমুদ্রসৈকত, সেলুন, বিউটিপার্লার, জিমনেসিয়াম ও খেলাধুলার মাঠ খুলছে। রাজধানী রোমের ট্যুরিস্ট পয়েন্টগুলোর খাবারে বাংকারগুলো ইতিমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে।

ইতালির সীমান্ত খুলে দেওয়া হচ্ছে আগামী ৩ জুন থেকে। তুলে নেওয়া হচ্ছে নাগরিকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। এর ফলে দেশজুড়ে নাগরিকরা অবাধ চলাচল করতে পারবে। সেই সঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবে ইউরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে। এজন্য ভ্রমণ ভাতা হিসেবে প্রত্যেক নাগরিককে দেওয়া হবে ৫০০ ইউরো আর্থিক সহায়তা।

ইউরোপের মধ্যে প্রথম লকডউন ঘোষণা করা হয়েছিল ইতালিতে। দেশটিতে  ১১ মার্চ শুরু হওয়া ইউরোপের দীর্ঘতম লকডাউন ৪ মে থেকে ধাপে ধাপে শিথিল করা হচ্ছে। দেশটির নাগরিকদের অবাধ চলাচলের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।

ইতিমধ্যে দেশটির নাগরিকদের বাইরে বের হওয়ার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে। গণপরিবহন এবং ট্রেনের যাত্রীদের সংখ্যা ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপের সবচেয়ে জনপ্রিয় এয়ারলাইন্স ‘রাইন এয়ার’ সীমিত আকারে জুলাই থেকে ৪০ শতাংশের বেশি ফ্লাইট চালু করছে। 

গত শনিবার দেশটির অর্থনীতিকে সচল করা এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও পরিবারের সহায়তার জন্য ৫৫ বিলিয়ন ইউরোর ‘ডেক্রেতো রিলাঞ্চা’ নামের একটি বিল অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ বিলে নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা ও ব্যবসায়ীদের নানাবিধ প্রণোদনার ঘোষণা রয়েছে। পাশাপাশি শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় ৫ লাখের বেশি অনিয়মিত অভিবাসীকে বৈধতা দেয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকতে হবে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এভাবে জীবনযাপনের অভ্যাস করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে ও নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে এর বিকল্প এই মুহূর্তে সরকারের কাছে নেই।’

-এফকে

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter